১৭ মে ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’নীতি বাস্তবায়নে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত,মেলেনি নোটিশের জবাব বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে। চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন বিদেশ ফেরত আগৈলঝাড়ার দুই যুবকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি চাঁদা’ হিসেবে লুঙ্গি দাবি, ওসিকে বদলি! বাবুগঞ্জে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর: ডোনাল্ড লু
ইউক্রেনের ২০ ভাগ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে

ইউক্রেনের ২০ ভাগ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়া এখন ইউক্রেন ভূখণ্ডের প্রায় ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, এই পরিধি বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসের সম্মিলিত আয়তনের চেয়েও বেশি। গত বৃহস্পতিবার লুক্সেমবার্গ পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি এসব কথা বলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, মস্কোর হাতে এখন প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার আছে। এর মধ্যে আছে ক্রিমিয়া ও পূর্ব ইউক্রেনের কিছু অংশ, যেগুলো রুশপন্থি বাহিনী ২০১৪ সালে দখল করেছিল। এসব অঞ্চল মোটামুটিভাবে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ৭ শতাংশ উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, সম্প্রতি ১ হাজার স্কয়ার কিলোমিটারের বেশি অঞ্চল যুদ্ধের কারণে পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। যুদ্ধে রাশিয়ার বিপুল সামরিক ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে আরও দাবি করেন, ৩০ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা মারা পড়েছে। এই সংখ্যা ১৯৭৯-৮৯ সালের আফগান যুদ্ধের সময় নিহত হওয়া মোট সোভিয়েত সেনা এবং ১৯৯৪-২০০০ সালের দুটি চেচেন যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। যদিও রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধে কেবল ১ হাজার ৩০০-এর কিছু বেশি সেনা নিহতের কথা জানিয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক প্রদেশের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের ৮০ ভাগই এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন দেশটির আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি হাইদাই। তিনি জানান, সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের রাস্তায় রাস্তায় এখন লড়াই চলছে। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের সেনারা রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। রুশ বাহিনী শহরের সড়কগুলো দিয়ে ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। রাশিয়ার গোলাবর্ষণে ইতোমধ্যে শহরের বড় অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ সময় ছয় রুশ সেনাকে বন্দি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের দক্ষিণ ও পশ্চিমে ভয়াবহ লড়াই অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে হাইদাই বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ঘেরাও করে ফেলার চেষ্টা করছে। তবে পার্শ্ববর্তী লিসিচানস্ক শহর এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। তিনি জানান, রুশ অগ্রগতির মুখে সেভেরোদোনেৎস্ক শহর থেকে কোনো ইউক্রেনীয় সেনা পিছু হটার অর্থ তাঁদের পরিকল্পনা আছে। তাঁরা নিশ্চিতভাবেই আগ্রাসনকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সফলতা পেতে ইউক্রেনের কাছে চারটি এমকিউ-১সি গ্রে ঈগল ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা করছে বাইডেনের প্রশাসন। এসব ড্রোনে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা যাবে। তবে জেনারেল অটোমোবাইলসের তৈরি এসব ড্রোন বিক্রির আগে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। শেষ মুহূর্তে নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে এই বিক্রি আটকে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের একটি সু-২৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, মিকোলাইভ অঞ্চলে যুদ্ধবিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য শহর খারকিভেও জোরদার হামলা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কিয়েভকে ৮টি হাউইটজার (স্বচালিত কামান ব্যবস্থা) জুজানা ২ পাঠাতে যাচ্ছে স্লোভাকিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে। ইউরোপের এই দেশটি ইউক্রেনকে ইতোমধ্যে ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করেছে। দ্য জুজানা ২ হাউইটজারের আধুনিক সংস্করণ। এটি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা রাখে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ইউক্রেনে হাউইটজার সরবরাহ করেছে। ক্রেমলিনপন্থি রুশ টেলিভিশন চ্যানেল রাশিয়া-১ টিভির উপস্থাপক ওলগা স্কাবিভা অন্য এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার পরবর্তী আগ্রাসনের টার্গেট ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড হতে পারে। এ সময় তিনি বলেন, একটি সত্যিকারের যুদ্ধ শুরু হয়েছে- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আমরা শুধু ইউক্রেনের নয়, পুরো ন্যাটো জোটের নিরস্ত্রীকরণ পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছি। সূত্র :এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স ও আলজাজিরা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019